শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
আমি মতিউর রহমান। বর্তমানে আমি মৌলভীবাজার শহরে অবস্থান করছি। এ শহরে আমার প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে। বিভিন্ন মানুষের অবদানে এ শহরে আমার ঠিকে থাকা। আজকের এই লেখা শুধু মাত্র তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
আমি তাদের কোন রেংকিং দিতে পারব না। তারা প্রত্যেকে আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যায় যে এক এক ক্ষেত্রে এক এক জন্য আমার কাছে গুরুত্বপূণ্। আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রেই এই রকম ঘটতে পারে।
একটা জায়গায় অবস্থান করতে হলে কি কি লাগে?
- প্রথমত, থাকার মতো একটি জায়গার প্রয়োজন হয়। দিন শেষে রাত কাটানোর মতো একটা জায়গার প্রয়োজন হয়।
- খাবারের ব্যবস্থা থাকাতে হয়। যদি পেঠে কিছু না থাকে তাহলে একটা জয়গায় ঠিকে থাকা সম্ভব নয় ।
- একটি সুসংগঠিত পরিচয় লাগে। কোন পরিচয় ছাড়া একটা জায়গায় টিকে থাকা যায় না।
জীবন যেখানে যেমন এই স্বভাবটিও আমাকে মারাত্মক ভাবে সাহায্য করেছে এই শহরে ঠিকে থাকার ক্ষেত্রে।
বাবা-মা ছাড়াও আমাকে সাহয্য করেছেন অনেক মানুষ। তাদের কথা আমি শুধু লিখব। বাবা মায়ের অবদান না হয় অলিখিত থাকলো।
যদি আমি এই শহরের প্রথম দিকের কথা বলি তাহলে আমাকে বলতে হবে মির্জা পরিবারে কথা।
মির্জা পরিবার
মির্জা পরিবারের মানুষ জন আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তাদের এই অবদান আমি অধম কোন দিনই অস্বীকার করতে পারব না। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের সর্ম্পকে আর কোন কিছু বলছি না অন্য কোন ব্লগে লিখব।
এখন আমি এমনকিছু মানুষের নাম লিখতে চাই যাদের নাম না লিখলে আমার নিজের কাছে আমি নিজে লজ্জ্বি হয়ে পরব। সেই পরম সহায়তাকারী ব্যক্তিদের নাম আমি বুলেটিন আকারে প্রাকশ করছি।- মির্জা মিনহাজ (মামা)।
- সাদিক হোসাইন বাবু ( চাচাত্ব ভাই)।
- মশিউর রহমান সুমন (চাচা)।
- মাহফুজুর রহমান মাহফূজ (চাচা)।
- হামিদুর রহমান চৌধুরী (চাচা)।
- সুমন রহমান মখলিছ ।
- আশিস কুমার রায়।
- বেনু চন্দ্র দেবনাথ।
- ফটিক ভাই।
এই যাদের কথা বললাম তাদের সামনে গিয়ে এই সব কথা বলা আমার পক্ষে কোন দিন সম্ভব হবে কি না জানি না। তাদের সামনে গিয়ে এই সব কথা বলা আমার উদ্দেশ্য না।
হয় তো এই মানুষ গুলো মনে করতে পারে যে আমি তাদের অবদানের কথা ভূলে গেছি। তাদের সাথে আমি হয়তো আগের মতো যোগাযোগ রাখতে পারছি না। কিন্তু সব সময় তাদের কথা আমার মনে আছে, মনে থাকবে।
আরো একটা কারনে এই লিখা গুলো লিখছি। অনেক মানুষ আছে যারা ভুলে যায় অতীতে তাকে কারা, কখন, কিভাবে থাকে সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতে মানুষ গুলোর জন্য আমি এই গুলো লিখে রাখছি।
তাছাড়া আরো একটা বিষয় হলো আমাদের মতো মানুষের খবর তো আর পৃথিবী নেবে না। এই সব কথা কেউ হয়তো নিজে থেকে জিজ্ঞাস করবে না। সেই হিসাবে আমি নিজে তেকে বলে দিলাম যে কে কখন আমাকে সাহায্য করেছিল।
কৃজ্ঞতা প্রকাশ করতে আসলে লজ্জ্ব নেই।
বিঃদ্রঃ আমার লেখায় একটু বেশি বানান ভুল হয় এতে আপনারা যারা পড়বেন তাদের হয়তো একটু পড়তে অসুবিধা হতে পারে। এর জন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করছি।
লেখকঃ মতিউর রহমান
ছাত্র
মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ।
2 Comments
অসাধারণ
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDelete