সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম এবং অনলাইনে কিভাবে সার্টিফিকেট সংশোধন করবেন এই বিষয়টা নিয়েই আজকে এই সার্টিফিকেট সংশোধন সংক্রান্ত ব্লগ।আশা করি সার্টিফিকেট সংশোধন সংক্রান্ত এই ব্লগ আপনার কাজে লাগবে ।
সার্টিফিকেটে সাধারণত কোন ধরণের ভুল হয়ে থাকেঃসার্টিফিকেটে মূলত নিজের নাম, পিতা কিংবা মাতার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকে। প্রধানত এই ভুলগুলো সংশোধনের জন্যই সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করা হয়।
সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করার জন্য কিকি ডকুমেন্টস লাগবেঃ- এফিডেভিট।
- পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি।
- সংশোধিত তথ্যের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজাত। (পরে আলোচনা করা হবে)
এফিডেভিট
সার্টিফিকেটে নাম বা জন্ম তারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট অথবা নোটারি পাবলিক এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিট/হলফনাম সম্পানদ করাতে হবে। আবেদনকারীর নিজের নাম/পিতা/মাতা/জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় কিংবা কম হয় কিংবা আবেদনকারী তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আবেনদকারীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট/হলফনাম সম্পাদন করতে হবে। হলফনাম সম্পাদন কালে অবশ্যই, নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তাও উল্লেখ করতে হবে।
পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি
সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য এফিডেভিট/হলফনাম সম্পাদনের পর যে কোন একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে এফিডেভিটে উল্লেখিত তথ্য যেমনঃ আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান যথাঃ আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে। এবং নোটারী পাবলিক অথবা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হতে যে রেজিষ্টেশন নাম্বার পরবে তাও পত্রিকার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করতে হাবে। সার্টিফিকেট সংশোধনের ক্ষেত্রে এই সব তথ্য পত্রিকায় উল্লেখ্য করা খুবিই জরুরী।
সংশোধিত তথ্যের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজাত।
১। আবেদনকারীর, আবেদনকারীর পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট সহ বোর্ড যদি অন্য কোন কাগজ পত্র চেয়ে থাকে তাহলে সেই সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হাবে। সেটা হতে পারে স্থানীয় চেয়ারম্যানে প্রত্যয়ন পত্র কিংবা আপনি যেই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকার প্রত্যয়ন পত্র।
সার্টিফিকেট সংশোধনে কত টাকা লাগবে।
০১। এফিডেভিট করতে গেলে আপনার ৫০০-১০০০/- টাকা পর্যন্ত লাগবে।০২। পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে ৬০০-৯০০/- টাকা লাগবে।০৩। সরকারী ফি বাবত আপনার লাগবে সর্বচ্চ ২০০০/- টাকা আবেদনের সময় সেই হিসাবটা সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
অনলাইনে কিভাবে সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করবেন ?
সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার শিক্ষা বোর্ড এর ওয়েব সাইটে যেতে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের তালিকা দিয়ে দিলাম ক্লিক করেই আপনার বোর্ডে চলে যেতে পারেন এবং করতে পারেন নিজেই নিজের সার্টিফিকেট সংশোধনে আবেদন।
- এফিডেভিট।
- পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি।
- সংশোধিত তথ্যের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজাত। (পরে আলোচনা করা হবে)
পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি
সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য এফিডেভিট/হলফনাম সম্পাদনের পর যে কোন একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে এফিডেভিটে উল্লেখিত তথ্য যেমনঃ আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান যথাঃ আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে। এবং নোটারী পাবলিক অথবা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হতে যে রেজিষ্টেশন নাম্বার পরবে তাও পত্রিকার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করতে হাবে। সার্টিফিকেট সংশোধনের ক্ষেত্রে এই সব তথ্য পত্রিকায় উল্লেখ্য করা খুবিই জরুরী।
সংশোধিত তথ্যের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজাত।
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম।
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা।
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী।
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর।
যাইহোক উপরের আপনার শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে পারেন। প্রত্যেকটা বোর্ডের ওয়েবসাইটে Online Application নামে একটা লিংক থাকবে সেই লিংকে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করতে হবে।
Online Application এ ক্লিক করলে আপনাকে আবেদনে জন্য অন্য আরো একটি ওয়েব পেইজে নিয়ে যাবে। আমি এখানে সিলেট বোর্ড এর ওয়েব সাইট থেকে দেখাচ্ছি । আপনাদের শিক্ষা বোর্ডের কোথাও না কোথাও এই লিংকটি দেওয়া থাকবে।
Online Application এ ক্লিক করার পর উপরের মতো করে একটি পেইজ আসবে যেখান থেকে আপনি আপনার যা সার্টিফিকেটে যা সংশোধন করতে চান তা বাচাই করে নিবেন। Name correction বা নাম সংশোধনে জন্য Name correction বা নাম সংশোধনে ক্লিক করবেন। জন্ম-তারিখ সংশোনের জন্য জন্ম-তারিখ সংশোধনের লিংকে ক্লিক করতে হবে। তবে জন্ম-তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে পরিক্ষার রিজাল্ট প্রকাশ হওয়া দুই বছরের মধ্যে সার্টিফিকেটের জন্ম-তারিখ সংশোধনের আবেদন করতে হবে। তারপর যে কোন একটি অপশন ক্লিক করলে নিচের মতো পেইজ আসবে।
এই পেইজ আসার পর পরবর্তী ধাপ আপনারা সর্তকতার সাথে সর্ম্পণ করতে পারবেন। যদি আপনি কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী হন তাহলে বাকি কাজ আপনি নিজে নিজে করে নিতে পারবেন। আর যদি আপনি কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী না হন তাহলে সার্টিফিকেট সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনের সর্ম্পূণ কাজ এমন একজন কে দিয়ে করাবেন যে কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী।
আপনার পরিক্ষার নাম, পরিক্ষার বছর, পরিক্ষার রোল, রেজিষ্টেশন দেওয়ার পার ন্যাক্স বাটনে ক্লিক করলে আপনার সকল তথ্য চলে আসবে। সেখান থেকে আপনি যেই তথ্যটি সংশোধন করতে চান সেই তথ্য সংশোধন করে সটিক তথ্য প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ফোন নাম্বার, একটি ছবি এবং প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র সাবমিট করতে হবে।
উপরে দেখছেন লাল রং এ হাইলাট করে লিখা আছে, অনলাইনে নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার অনধিক ১০ দিনের মধ্যে আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্রাদির ০১ (এক) সেট প্রিন্ট করে অত্র শিক্ষা বোর্ডের সচিব বরাবরে প্রেরণ করতে হবে।
সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করার পর মোটামোটি তিন চার মাস সময় লাগবে আপনার সার্টিফিকেটটি সংশোধন হতে।

এই পেইজ আসার পর পরবর্তী ধাপ আপনারা সর্তকতার সাথে সর্ম্পণ করতে পারবেন। যদি আপনি কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী হন তাহলে বাকি কাজ আপনি নিজে নিজে করে নিতে পারবেন। আর যদি আপনি কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী না হন তাহলে সার্টিফিকেট সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনের সর্ম্পূণ কাজ এমন একজন কে দিয়ে করাবেন যে কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী।
0 Comments