Ticker

6/recent/ticker-posts

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম 2022 এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে?

 English Version

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে?

আমরা প্রত্যেকেই জানি যে ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন লাগে। আমরা যারা গাড়ি চালাইতে পারি তারা অবশ্যই জানি যে ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? আপনি গাড়ি চালাতে পারেন মর্মে আপনাকে যে লাইসেন্স প্রদান করা হয় তাকে আমরা সাধারনত ড্রাইভিং লাইসেন্স বলি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন প্রদান করা হয়? এর  উত্তর, আপনি যখন গাড়ি চালানো শিখে যাবেন তখন আপনি যে গাড়ি চালাতে পারেন এর প্রমান স্বপরু আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়। আপনি যখন রাস্তায় গাড়ি চালাবেন তখন প্রতিটা প্রদক্ষেপে আপনার এই লাইসেন্স কাজে লাগবে। পুলিশ আটকাবে আপনি পুলিশকে লাইসেন্স দেখাবেন কিংবা অন্য কোন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে হবে। লাইসেন্স দেখিয়ে প্রমান করতে হবে যে আপনি গাড়ি চালাইতে সক্ষম। 






বাংলাদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স

পৃথিবীর সব দেশই তাদের নাগরিকদের আবেদনে প্রেক্ষিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে। টিক তেমনি বাংলাদেশেও তার দেশের নাগরিক কে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানকারী দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিআরটিএ। যে কোন প্রাপ্ত বয়ষ্ক নাগরিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করবে। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়ঃ

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার আগে আপনাকে যে বিষয়টি চিন্তা করতে হবে, আপনি কি প্রফেশনাল (পেশাদার) লাইসেন্স  করবেন না কি নন-প্রফেশনাল (অপেশাদার) লাইসেন্স  করবেন।  যদি আপনার নিজের গাড়ি ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি নন-প্রফেশনাল (অপেশাদার) লাইসেন্স  এর জন্য আবেদন করবেন। আর যদি পেশাদার ভাবে গাড়ি চালাবেন বলে ভাবেন কিংবা বিদেশে যাবেন বলে ভাবেন তাহলে আপনি প্রফেশনাল (পেশাদার) লাইসেন্স  এর জন্য আবেদন করবেন। যদি আপনি পেশাদার লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার বয়স অবশ্যই ২১ বছর হতে হবে এবং অপেশাদারদের জন্য এই বয়স ১৮ হলেও চলবে। লাইসেন্স এর আবেদন করার আগে এই বিষয় টি মাথায় রাখা উচিত।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যা যা লাগবে তা নিম্ন রুপঃ

  1. জাতীয় পরিচয় পত্র।
  2. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  3. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (নূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি)।
  4. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক শারীরিক সুস্থতার মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  5. এবং নির্ধারিত ফিস।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগবে
টাকার কথা বলতে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সময় দুই টা পর্যায় আছে। সেই দুইটা পর্যায়ে কিন্তু টাকা খরচ হয়। প্রথম পর্যায়ে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। তারপরে পরিক্ষা দিতে হবে, পরিক্ষা পাস করলে পুণরায় স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে হবে। এবং তখন আরো একধাপে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। 

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে  কত টাক জমা প্রদান করবেন?

  1. যদি আপনি শুধু মাত্র মোটর সাইকেল চালক হন তাহলে আপনি ব্যাংকে ৩৪৫ টাকা জমা প্রদান করবেন।
  2. যদি আপনি মোটর সাইকেল এর সাথে হালকা যানবাহন চালাবেন বলে লাইসেন্স করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ৫১৮ টাকা ব্যাং জমা প্রদান করতে হবে। 
  3. যদি আপনি শুধু মাত্র হালকা যানের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি ব্যাংকে ‍শুধু মাত্র ৩৪৫ টাকা জমা প্রদান করবেন। 
  4. হালকা যান বলতে বুঝানো হয়েছে ২৫০০কেজির নিচে যত যানবাহন আছে সেগুলোকে যেমন, সিএনজি, কার, মাইক্রোবাস এগুলোকে। 
  5. লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য দুইটা ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যায়, শুধু মোটর সাইকেল অথবা শুধু হালকা যান। এই দুইটা মধ্যে যে কোন একটার জন্য আবেদন করলে ব্যাংকে জমা প্রদান করতে হবে ৩৪৫ টাকা । কিন্তু যদি দুই টার জন্য আবেদন করেন তাহলে ব্যাংকে ৫১৮ টাকা জমা প্রদান করতে হবে। 
  6. পেশাদার বা অপেশাদার যে লাইসেন্স এর আবেদন করেন না কেন টাকা পরিমান সমান থাকবে। যদি একটার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে দিতে হবে ৩৪৫ টাকা এবং দুইটা জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে দিতে ৫১৮ টাকা।

মতিউর রহমান



লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?


বিআরটিএ সেবা বাতায়ন এর ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনি লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি দেশের যে কোন জায়গা থেকে বসে এই কাজটি করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে বিআরটিএ এর ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনার নামে একটি একাউন্ট রেজিষ্টার করতে হবে। তারপর নির্ধারিত ফরম ফিল আপ করে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে পারবেন এবং অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লার্নারের জন্য নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা প্রদান করতে পারবেন। ব্যাংকের ফি জমা প্রদানের পর বিআরটিএ ওয়েব সাইট থেকে আপনাকে একটি লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে। লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ হচ্ছে তিন মাস এই সময়ে মধ্যে আপনাকে বিআরটিয়ে কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হবে। এবং পরিক্ষায় পাস করতে হবে। এই প্রতিটি কাজের জন্য আপনি সব সময়, আপনি যেই জেলায় অবস্থান করছেন সেই জেলার বিআরটিয়ে অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। তাহলেই ঠিক সময় মতো সব কাজ সমাপ্ত করে সময় মতো লাইসেন্স  পেয়ে যাবেন।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মানে কি?

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মানে হলো আপনি বিআরটিয়ে অফিস হতে গাড়ি বা মোটর সাইকেল চালানো শেখার অনুমতি নিয়েছেন এবং যানবাহন চালানু শিখি তারপর আরারো অফিসে এসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে  পরিক্ষায় অংশগ্রহন করবেন মর্মে একধরণে প্রত্যয়ন। ধরে নিতে পারেন এটা একটা ছোট লাইসেন্স।

 ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য পরিক্ষা কখন এবং কিভাবে অনুষ্টিত হবে?
আপনি যে বিআরটিতে লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন সেই বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে আপনার পরিক্ষা আনুষ্টিত হবে। সাধারণত একই দিনে সব পরিক্ষা দিতে হয়। যেমন লিখিত, মৌখিক, ব্যবহারিক। লিখিত পরিক্ষায় কাগজ পত্রে লিখে পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হয়। মৌখিক পরিক্ষার জন্য পরিক্ষকের সামনা সামনি বসতে হয় এবং সর্ব শেষে গাড়ি চলিয়ে দেখানোর মাধ্যমে ব্যবহারিক পরিক্ষা শেষ হবে। 

পরিক্ষা পাস করার পর আপনার করনীয় কি?

পরিক্ষা পাস করার পর আপনার করনীয় হচ্ছে উপরে বর্ণিত কাগজ পত্র নিয়ে আপনার নির্ধারিত বিআরটিএ অফিসে যোগাযোগ করা । তারপর নির্ধারিত ব্যাংক ফিস পরিশোধ করে র্স্মাট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। স্মার্ট কার্ড এর জন্য আবেদন করতে কি কি কাগজ পত্র লাগবে তা নিম্নরূপঃ

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। 
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি সংগ্রহ করতে হবে। 
৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৬৭৯/-টাকা ও অপেশাদার- ২৫৪২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমা প্রদান করে জমাদানের রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। 
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে হবে। 
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি আবেদন পত্রের সাথে আটা দিয়ে লাগি নিতে হবে। 


উপরের সব কাজ শেষ করার পর সব কাগজ পত্র একসাথে করে অফিসে জামা প্রদান করতে হবে। জমা প্রদানের কিছু দিনে মধ্যে আপনাকে বায়োমেট্রিক্স সম্পণ্য করার জন্য ডাকা হবে। তখন আপনার ছবি তোলা হবে এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর গ্রহন করা হবে। যে গুলো আপনার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর দেখা যাব।এই সকল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পার আপনাকে একটা রশিদ প্রদান করা হবে । সেই রশিদ ব্যবহার করে আপনি রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবেন। 

যখন আপনার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হয়ে যাবে বা তৈরি হয়ে যাবে তখন আপনার মোবাইল ফোনে এস এম এস এর মাধ্যমে জানানো হবে এবং আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আপরা বিআরটিএ হতে সংগ্রহ করবেন। 


শেষ কথাঃ

উপরের বর্ণনা অনুযায়ী আপনি আপনার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া কথা যদি আপনি মধ্য খানে কোন ভুল না করেন। সব সময় যে কোন কাজ খুব সর্তকতার সাথে করবেন হলে আপনাকে আর ঝামেলার মধ্যে পরতে হবে ন। 

লার্নার কার্ডের জন্য যখন আবেদন করবেন তখন অবশ্যই ভালো ভাবে দেখে শুনে করবেন।কিভাবে অনলাইনে লার্নার এর জন্য আবেদন করবেন সেই বিষয়ে একটি ব্লগ লিখব হয়তো সেটা আপনাদের কাজে লাগতে পারে । সব সময় আমার ব্লগকে ফলো করবেন যে কোন গুরুত্বপূর্ন তথ্যের জন্য।


gm motiur

আমি মতিউর রহমান। আমি প্রতিনিয়ত শুদ্ধ ও সত্য বিষয় প্রকাশ করার চেষ্টা করছি তারপরও যদি আপনাদের চোখে কোন ভুল ধরা পরে তাহলে আমাকে ই-মেইল করতে ভুলবেন না। কিংবা আমার ফেইসবুক পেইজে ম্যাসেজ করতে পারেন। যদি ব্লগটি ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ফেইসবুকে আমার পেইজটিকে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য জানতে ।

Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement