MS PowerPoint
আমরা যদি এম এস পাওয়ার পযেন্ট দিয়ে কাজ করতে চাই তাহলে আমাদের কে জানতে হবে এম এস পাওয়ার পয়েন্ট কি? আমরা কি জানি এম এস পাওয়ার পয়েন্ট কি? আমরা অনেকেই জানি এমএস পাওযার পয়েন্ট কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে।
হ্যা আমি জানি আপনারা জানেন।
![]() |
মতিউর রহমান সিভি |
আমরা যে উপরের এই ডিজাইনটি করলাম । এটা কিন্তু আমরা পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে করলাম। যে কারোরই পাওয়ার পয়েন্টের উপরে হালকা পাতলা জ্ঞান থাকলে এই কাজটি করতে পারে। আমার বিশ্বাস আপনিও পারবেন। যদি এখান থেখে কিছু মাত্র জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। আপনি অসংখ্য ডিজাইন করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। ডিজাইন মানুষ আপনাকে শিখাতে পারবে না্। ডিজাইন কিভাবে করতে হয় তা যে কেউ আপনাকে শিখিয়ে দিতে পারে।
আমার উদ্দেশ্য হলো আমরা যারা পাওয়ার পয়েন্ট সর্ম্পকে একেবারে কিছুই জানি না তাদের কে জানানো যে, কিভাবে পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে কাজ করতে হয়্।
চলুন জেনে নেই
১। এম ্এস পাওয়ার পয়েন্ট কি?
এম এস পাওয়ার পয়েন্ট হচ্ছে একটি প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার। আমরা স্কুলে দেখতাম যে প্রজেক্টর এর মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হতো । একজন স্যার ক্লাস নিতেন, অজয় স্যার । একটা ক্লিক করতেন একটা ছবি আসতো , তারপর একটা লেখা আসতো । এই গুলা হচ্ছে প্রজেন্টেশন বা উপস্থাপনা।
আমরা বক্তিতা দিতে যাওয়ার সময় কি নিয়ে যাই, ্একটা চিরকুট নিয়ে যাই। সেই চিরকুট অনুযায়ী আমরা বক্তিতা দেই। টিক সেই বিষয়টাই আমরা কাগজে লিখে না নিয়ে স্লাইড তৈরি করে নিয়ে যেতে পারি।
এই স্লাইডটা কি দিয়ে তৈরি করে? এইটা তৈরি করে এম এস পাওয়ার পয়েন্ট (মাইক্রসফ পাওয়ার পয়েন্ট) দিয়ে।
প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে এম এস পাওয়ার পয়েন্ট প্রগ্রামটি চালু করতে হবে। কিভাবে ওপেন করতে হবে প্রগ্রামটা সেটা নিশ্চয়ই আপনারা জেনে থাকবেন।যদি না পারেন তাহলে কমেন্ট করতে পারেন কিংবা সিভিতে দেওয়া নাম্বারে ফোন করতে পারেন।
২। এম এস পাওয়ার পয়েন্ট ওপেন করার পর যে রকম দেখাবে।
![]() |
এম এস পাওয়ার পয়েন্ট 7 |
পাওয়ার পয়েন্টের ইনসাইডটা এই রকম দেখায়। আপনারা যারা নতুন তাদের কাছে বিষয়টা একে বারে মাথা খারাপ টাইপের মনে হতে পারে। আমার কাছেও প্রথম প্রথম মনে হয়েছিল। এটা সাধারণত সবার সাথেই হয়, কোন নতুন বিষয় জানার পর মনে হয়, ইয়া এত কঠিন।
![]() |
এডিটিং বার |
এই যে এডিটিং বার আছে এইটা দিয়ে আসলে সবকিছু ডিজাইন করা হয়।মূলতঃ এই এডিটিং বারেই পাওয়া পয়েন্টের সকল যন্ত্রপাতি থাকে।এই এডিটিং বার সর্ম্পকে যদি আমরা বিশদ ভাবে ধারণা নিতে পারি তাহলে আমরা পাওয়ার পয়েন্টে ভালো কিছু একটা করতে পারব।
আমরা এই এডিটিং বারে মধ্যে ০৭ মেনু দেখতে পাচ্ছি। ভার্সন ভেদে মেনু গুলোর সংখ্যার কম বেশি হতে পারে।তবে সব জায়গায় এই ০৭ টি বিষয় থাকবে। এই সাতটি বিষয় নিচে দেখানু হচ্ছে।
![]() |
এই হচ্ছে সেই মহা মান্য সাতটি বিষয় যে গুলো সর্ম্পকে ভালো ধারনা না থাকলে আপনি ডিজাইনার হতে পারবেন না। |
সাতটা বিষয়ের একটা লিস্ট আমরা এখানে দিয়ে দিলাম।
- হোম
- ইনর্সাট
- ডিজানই
- অ্যানিমেশন
- স্লাইড শো
- রিভিউ
- ভিউ
এই যে লিস্ট আছে। এই লিস্টের প্রথম ০৫ মেনু সর্ম্পকে আপনার ক্লেয়ার ধারনা থাকতে হবে। নইলে আপনি ভালো ডিজাইনার হতে পারবেন না বা ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারবেন না।
আমার মনে হয় এই ব্লগের মাধ্যমে পাওয়ার পয়েন্টের ইনসাইড কি রকম হয় এই ধরণা দিতে পেরেছি।
পরবর্রী ব্লাগে আমরা জানব কিভাবে প্রথম পাঁচটি মেনু ব্যবহার করে একটি সফল প্রেজেন্টশন তৈরি যায়।
আমার অনেক ভুল থাকতে পারে। ভুল গুলো এড়িয়ে যাবেন।আর যারা এক্সপার্ট তাদের জন্য এই ব্লগ না।
0 Comments