বাংলাদেশী পাসপোর্ট বিষয়ক এই ব্লগে লিখার চেষ্টা করব পাসপোর্ট কি? এম আর পি পাসপোর্ট কি? ই-পাসপোর্ট কি? ই- পাসপোর্ট এবং এম আর পি পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি? ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করবেন? নাকি ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করন? পাসপোর্ট সর্ম্পকীয় সম্ভাব সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
তাছাড়া আরো বিভন্ন ধরনের প্রশ্ন আমাদের মাথায় সব সময় ঘুরপাক খায়ঃ যেমন-
- পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
- পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে?
- পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
- পাসপোর্ট করতে বয়স কত লাগে?
০১। পাসপোর্ট কি?
পাসপোর্ট হল এমন পরিচয়পত্র যার দ্বারা দেশের নাকরিক কে এক দেশে থেকে অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়। দেশের বাহিরে যে কোন জায়গায় নিজ দেশের পরিচয় বহন করে।
০২। পাসপোর্ট কত প্রকার?
বংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। ব্যবহারের ভিত্তিতে পাসপোর্ট এর ধরনে পরিবর্তন হয়ে থাকে।
সাধারণ পাসপোর্ট ঃ বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে সাধারণ মানুষের জন্য সবুজ মলাটের যে পাসপোর্ট ইস্যু করে সেই পাসপোর্টকে সাধারণ পাসপোর্ট হিসাবে ধরা হয়।
দাপ্তরিক পাসপোর্টঃ বাংলাদেশ সরকার সরকারী কর্মচারী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারী ব্যবসায়ের বিষয়ে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের জন্য নীল মলাটের ইস্যুকৃত পাসপোর্ট কে দাপ্তরিক পাসপোর্ট বলে।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট লাল মলাট ) বাংলাদেশি কূটনীতিকদের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক কুরিয়ার জারি করা হয়।
০৩। বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে কত বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে পারবেন?
পাসপোর্ট সাধারণত দুই টা মেয়াদে হয়। আপনি পাঁচ বছরের জন্য পাসপোর্ট করতে পারেন কিংবা দশ বছরের মেয়াদের জন্য করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি ৬৪ পেইজের পাসপোর্ট নিতে পারেন কিংবা ৪৮ পেইজের পাসপোর্ট নিতে পারেন।
০৪। পাসপোর্ট সংশোধন কিভাবে করব?
বর্তমান সময়ে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে আমাদের পাসপোর্ট গুলো প্রচুর ভুল ধরা পড়ছে। ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে এই সব ভুল বাধা সৃষ্টি করছে। যদি আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং এম আরপি পাসপোর্টের তথ্যের মধ্যে মিল না থাকে তাহলে ই-পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে সাধারন মানুষ জামেলায় পড়ছে।
পাসপোর্ট সংশোধন করা জন্য আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ই-পাসপোর্টে ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে। সংশোধনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। প্রয়োজনে হলফনামা সম্পাদন করে আপনার জেলা অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের জমা প্রদান করতে হবে।
০৫। নিজে নিজে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়াটা কি?
্আপনি যদি দালাল ছাড়া নিজে নিজে পাসপোর্ট করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাহালে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে। সেই জন্য আপনার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূক। চলুন দেখে নেই নিজে নিজে পাসপোর্ট করতে আপনার কিকি কাগজ পত্র লাগবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আইডি কার্ড
- ইউনিয়ন সার্টিফিকেট বা নাগরিক সনদ
- আপনি যদি ছাত্র হিসাবে পাসপোর্ট এর আবেদন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদনা করতে হবে।
- যদি ব্যবসায়ী হিসাবে পাসপোর্টর আবেদন করে থাকে তাহলে ব্যবসা সংক্রান্ত কাগজ পত্র প্রদানপূর্বক পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট কিভাবে নিজে নিজে করবেন বিস্তারিত পড়ুন।
0 Comments