Ticker

6/recent/ticker-posts

মনকে ভালো রাখার কী কী কৌশল আছে?


মন ভালো রাখার  সবচেয়ে ভালো উপয়। 


জীবনে অনেক রকম বিপর্য আসবে এই সকল প্রত্যেকটা মূর্হুতকে বুঝতে শিখতে পারলে আমরা আমাদের মনকে কিছুটা হলেও শান্ত করতে পারব । আমার মন খারপ হলে আমি তহসানের গান শুনি। এই যে আমি লিখছি এখন আমার মন খুব খারাপ। শুধু মাত্র আমার মনটা ভালো করার জন্য এখন আমি লিখছি সাথে তাহসানের গান শুনছি। 

একটা সময় ছিল যখন মন খারাপ হতো তখন আয়মান সাদিক বা সোলায়মান শুখন ভাইয়ে বক্তব্য আমার মন ভালো করত। তাদের হাসি হাসি ছবি দেখলেও আমার মন ভালো হয়ে  যেতো। আপনারাও চাইলে তাদের ছবিটা  দেখে নিতে পারেন।


আয়মান সাদিক



সুলায়মান শুখন



মন ভালো করতে কি লাগে?


মন ভালো করতে পাঁচ মিনিট লাগে এক মিনিটেও মন ভালো করতে পারেন যদি আপনার ভালো কিছু উদ্দেশ্য থাকে!

যেমন, আপনার যেকোন কারনে আজ মনটা খারাপ , রাস্তায় একা একা হাটতেছেন।হঠাৎ করে দেখলেন যে একটি অসহায় শিশু আপনার কাছে সাহায্যের আবেদন করছে যে কিছুই খায়নি আজকে! আপনি তাকে হোটেল কিংবা একটি দোকানে নিয়ে সামান্য অথবা পেট ভরে খাবার খাওয়াইলেন!

আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পাড়ি আপনার মন ভালো  হয়ে যাবে। 


প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি

মনকে ভালো রাখতে গেলে আগে মন খারাপের কারণগুলোকে খুঁজে বার করতে হবে। আর দরকার শরীরকে ভালো রাখা, কারণ শরীরের সঙ্গে মনের যোগ প্রবল। মন খারাপের একটা সাধারণ কারণ হচ্ছে ব্যর্থতা। যে কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থতা নেমে এলে আমরা সেটা আর মেনে নিতে পারি না। এই পরিস্থিতি এড়ানোর উপায় expectation কে limited রাখা। বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে হবে, অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা করলে চলবে না। positive thinking, visualisation of success — এসবের সাথে যদি বাস্তব চিন্তা না থাকে, তখন ব্যর্থতাকে মেনে নেওয়া কষ্টকর হয়। যেকোনো কাজ করার আগে ধরে নিতে হবে যে সফলতা বা ব্যর্থতা দুটোই আসতে পারে। expectation আর পরিশ্রম সমানুপাতিক রাখতে হবে।

আমাদের সমাজে এই কারণে মানুষ বেশি মন খারপ করে। আমার ক্ষেত্রেও হয় এমনটা। অনেক সময় থাকে ্আমরা প্রত্যাশ আর প্রাপ্তিটা মেনে নিতে পারি না। আর সেখান থেকেই মন খারাপের শুরু।

মনকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।

জ্ঞানীগুনী মানুষরা যা বলেন তা হলো মন বলে আসলে নাকি কোনও বস্তু নেই। সবই মস্তিস্কের এবং তার সাথে কিছু হরমোনের ( যেমন ডোপামাইন, সেরোটোনিন, এন্ডোরফিনস, অক্সিটোসিন ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি) কারসাজি। তাই বলে সব ভার হরমোনের ওপর চাপিয়ে আমরা তো নিশ্চিন্ত হয়ে থাকতে পারিনা । মস্তিষ্কই হোক বা মন— নিজেদের নিয়ন্ত্রনে আনাটা খুবই দরকার। এক্ষেত্রে আমি যে পন্থাগুলি অনুসরণ করি সেগুলি হল:—

  • সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম প্রতিনিয়ত মেনে চলা । যেমন রোজ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া ও ঘুমানো, খাবার সময় দূরদর্শন না চালানো, সারাদিনে অন্তত একটা সময় বাড়ির সবাই একসাথে খেতে বসা, ন্যুনতম ঘুমের সময় বজায় রাখা । শরীর সুস্থ থাকলে মনও সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
  • সারাদিনে বাড়ীর ছোট থেকে বড় সবার সাথে একবার অন্তত যোগযোগ করা, কথা বলা।
  • সারাদিনে কিছুটা সময় ( অল্প হলেও ) যোগ বা প্রানায়াম করা। কিছু না হোক চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বসে থাকলেও উপকার দেয়। নিজেকে একটু সময় দেওয়া।
  • ভাল বই পড়ার অভ্যাস তৈরী করা। প্রতিটি বই থেকে কিছু ভাল শিক্ষা নিজের জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা অন্তত করা।
  • নিজেকে গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত রাখা।
  • অযথা গুজবে কান না দেওয়া ও গুজব সৃষ্টি না করা।
  • পরনিন্দা পরচর্চা করার সময় মাত্রাজ্ঞান রাখা। সম্ভব হলে না করাই কাম্য।
  • লোকের কথায় কান না দেওয়া।নিজের ক্ষতি করে অন্যের উপকার করা থেকে নিজেকে বিরত করা।
  • পরিবারকে প্রাধান্য দেওয়া।
  • "ঘরের খেয়ে বনের মোষ " না তাড়ানো ।
  • নিজেকে ব্যতিক্রমী প্রমানের চেষ্টায় অকারণ কলহ—অশান্তি সৃষ্টি না করা। মুর্খের সাথে তর্ক না করা।
  • জীবনের প্রতিটি ধাপে নিজেকে ও পরিবারকে অর্থিকভাবে সুরক্ষিত করা।
  • নিজের উপর আস্থা রাখা ও প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে বদলানোর মানসিকতা রাখা ।
  • আশাবাদী হওয়া এবং নিরাশাবাদীর থেকে দুরত্ব তৈরী করা।
  • নিজের মত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করা।
  • সংবেদনশীল ব্যাপারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না জানানো।ধৈর্যশীল ও সহনশীলতার পরিচয় দেওয়া।
  • অসুস্থ ও ক্ষতিকর চিন্তা থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখা।
আপনারা যদি মন ভালো লাগা সর্ম্পকে আরো বেশি কিছু জানতে আগ্রহী হন তাহলে আপনার ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন।

সবার মন   যে একই রকম ভাবে ভালো থাকবে তা কিন্তু না । এক এক মানুষের মন  এক এক ভাবে ভালো থাকতে পারে । 

আপনার মন কিভাবে ভাল হয় বা কিভাবে ভালো থাকে জানিয়ে দিতে পারেন আমাদের কে কমেন্টের মাধ্যমে। 




Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement