মানুষ জাতির ইতিহাস বড়ই বিচিত্র। মানুষ তাদের অগ্রযাত্রার শুরুতে আগুন জালাতে শিখে এগিয়ে যাওয়া শুরু করে । এরই ধারাবাহিকতায় তাড়া নৌকা জাহাজ গাড়ি অবশেষে উড়োজাহাজ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তারপর থেকে খুব সহজে সারা পৃথিবীর মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমন করতে শুরু করল। যেখানে ছয় থেকে সাত মাসের যাত্রা ছিল এখন সেখানে কয়েক ঘন্টার যাত্রা হয়ে গেছে।
সারা পৃথিবীব যেমন এই জয়যাত্রায় সংক্রমিত হয়েছে আমাদের ছোট সোনার বাংলাও এই সংক্রমনের বাহিরে নয়। তাইতো ১৯৭২ সালে হাতে গনা কয়েকটি উড়োজাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিমান। তারপর থেকে দীর্ঘ সময় বিমান খাতে বাংলাদেশ বিমান একাই রাজত্ব করে বাংলাদেশে। কিন্তু বর্তমানে বিমান খাতের উন্নয়ন হওয়ায় বেশ কয়েক টি বিমান সংস্থা সংযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ এভিএশন ইন্ডাস্ট্রিতে। নিচে তারই কিছু ফিরিস্তি তুলে ধরার চেষ্ট করলাম।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিমান চলাচল করে থাকে তার মধ্যে নিচে কয়েকটি ক্যাটাগরির কথা উল্লেখ্য করা হলো।
- নিয়মিত বিমান পরিবহন
- ভাড়া চালিত পরিবহন
- কার্গো বা পণ্যবাহী বিমান।
নিয়মিত পরিবহন
ভাড়ায় চালিত পরিবহন
- সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স
- বিআরবি এয়ার লিমিটেড
- বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ
- ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেড
- বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স লিমিটেড
পণ্যবাহী পরিবহন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গঠিত হয় এবং ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আভ্যন্তরীণ সেবার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর পর থেকে বিমান বাংলাদেশ কে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৯৯৬ পর্যন্ত দেশে উড়োজাহাজ খাতের একক সংস্থা হিসেবে ব্যবসা চালায়।
নভোএয়ার
নভোএয়ার বাংলাদেশের অন্যতম একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা । যেটি সাধারণত দেশের ভিতরে যাত্রীসেবা প্রদান করে থাকে। নভোএয়ার দিনে প্রায় ২৫ টির মতো ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। সম্প্রতি নভোএয়ার দেশের বাহিরে কলকাতায় তাদের আর্ন্তজাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে।এইটি দেশেরে ০৯টি গন্তব্যে তাদের যাহায়াত সেবা প্রদান করে থাক।এভিয়েশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে "নভোএয়ার" যাত্রা শুরু করে বর্তমানে দেশের অন্যতম বিমান সংস্থা হিসাবে সুনামের সাথে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থা এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর পর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশী বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এটি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্দ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ইউএস-বাংলা গ্রুপের একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে দুইটি অভ্যন্তরীণ গন্তব্য, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং যশোর এ যাত্রীসেবা প্রদান করলেও বর্তমান এটি বাংলাদেশের ভিতরে এবং আর্ন্তজাতিক রোটেও তাদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এখানে একটা কথা বলে রাখি ইউএস-বাংলার সাথে আমার পরিচয় মূলত নেপালে ঘটে যাওয়া সেই বিমান দূর্ঘটনা মাধ্যমে। যেখানে নেপালে ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানন্দরে ২০১৮ সালে বিধস্ত হয ইউএস বাংলার ফ্লাইট ২১১। এই ঘটনায় ৭১ জন্য আরোহীর মধ্যে ৫১ জন্য মানুষ আর পৃথিবীতে ফিরতে পারেন নি।
সামান্য বিমান বাংলাদেশের তিনটি বিমান বিমান নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের এভিএশন ইন্ডাস্ট্রির আর তার পরিসর কত বড় হয়ে ওঠেছে। উড়োজাহাজ যাত্রা পথের অনকে সময় বাচিয়ে দেয়, আর দীর্ঘ পথ ভ্রমনের ক্লান্তিটা লাগব করে নেয়। যার কারনে দেখা যাচ্ছে দেশে বিত্তবান মানুষেরা তাদের কাজে খাতিরে দেশে ভিতরেও ফ্লাইট ব্যবহার করে থাকে। সেই দৃষ্টিত বাংলাদেশ বিমান খাতে একটা বড় পরিসর তৈরি করবে আগামী এক দশকের ভিতরে।
ভালো থাকবেন সবাই দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে।
0 Comments