প্রিয় স্যার
আশা করি ভালো আছেন। আমি দীর্ঘদিন পর আপনাকে আবারো স্বপ্নে দেখলাম।কল্পনার বাহিরে অনেক শব্দ, গল্প, ছন্দ থাকে।মাঝে মাঝে অবচেতন মনে কিছু সময় হলেও এই উপাদান গুলো খেলা করতে থাকে।সবার ক্ষেত্রে এইটা কাজ করে কি না জানি।কিন্তু মাঝে মাঝে আমার ক্ষেত্রে এটা ঘটে।
প্রিয় স্যার, আপনাকে ভালোবাসি কিনা আমার জানা নেই কিন্তু আপনার কথন, বলন, চলন জড়িয়ে আছে আমার স্মৃতির পাতায়।হয়তো পৃথিবীর সকল ছাত্রদের মনে তার শিক্ষকের কথা এভাবেই থেকে যায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। মাঝে মাঝে আপনার রঙ্গিন চশমার গল্প গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করি, দুই এক লাইন লিখি, বুঝতে চেষ্টা করি। আসলে কি বুঝাতে চেয়েছিলেন রূপ কথার মতো সেই অতি বাস্তব গল্প গুলো দিয়ে। আজ আমি আমার ছোট কুটিরে বসে, সেই গল্প গুলোকেই অনুধাবন করার চেষ্টা করছি।
স্যার যদি কোন সময় আমার এই পত্র আপনার কাছে পৌছায় তাহলে জানাবেন, আপনি কেমন আছেন? আমি প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াই, কারণ যদি আপনার মতো কোন শিক্ষকের সাথে দেখা হয় তখন যেন একটা সালাম দিতে পারি। কেননা সালাম দেওয়া ছাড়া আর কোন কথা বলার যোগ্যতা যে আমার নাই। গতকাল লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক নাজমুল ইসলাম স্যারের সাথে দেখা, আমি শুধু একটা সালাম দিলাম আর কিছু বলতে পারলাম না।কেন আর কিছু বলতে পারলাম না এর উত্তর আমার জানা নেই।
প্রিয় স্যার, আমি বাড়িতে আসলে আপনার বাড়ির আশেপাশে ঘুরে বেড়াই, কেন ঘুরে বেড়াই জানি না, হয়তো ভালো লাগে। ফরিদ স্যার কে মাঝে মাঝে দেখতে পাই, কখনো স্কুলের পাশে রাস্তায় কিংবা কোন দোকানে। যখন স্কুলের পাশ দিয়ে যাই, ভাবি এই তো কিছু দিন আগে এখানে ছিলাম ।
যাইহোক, ভালো থাকবেন স্যার। আমি আপনার ছাত্র ছিলাম, আমাকে আপনি চিনবেন না। তাছাড়া আপনার সামনে দাড়ানোর ক্ষমতা বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নাই। আপনি কোথায় আছেন আমি জানি না। চাইলে জানতে পারতাম কিন্তু জানতে চাইছি না।জেনে গেলে আমার মনে হয় ভালোবাসা কমে যাবে।
ভালো থাকবেন স্যার,
আপনার অতি বাধ্যগত ছাত্র,
মতিউর রহমান।
ছবির বামপাশে আলমগীর ভাই, আর ডানপাশে
আমার স্যার জনাব আব্দুল মালিক।
0 Comments