Ticker

6/recent/ticker-posts

ঘরে বসেই অনলাইন থেকে আয় করুন

জিএম মতিউর ডটকম, ঘরে বসেই আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার উপায়

আমরা প্রত্যেকেই আয় করতে চাই, সেটা ঘরে বসে আয় করা হোক কিংবা ব্যবসা করে হক। প্রত্যেকের টাকার প্রয়োজন, এই প্রয়োজন মিটানোর জন্য আমার ব্যবসা করি, চাকরি কিংবা নানা পেশায় নিযুক্ত থাকি। ঘরে বসে আয় বা অনলাইনে আয় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচলা করার আগে চলুন আগে জেনে নেই আয় কি?


আয় কি ?

উইকিপিডিয়ার মতে আয় হচ্ছে  এবং জমানোর সুযোগ যা কোন নির্দিষ্ট সত্তা দ্বারা এরটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্জিত হয়। একে সাধারণত আর্থিক রাশিতে প্রকাশ করা হয়। আর অর্থনীতিতে আয়ের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এরকম যে, ব্যক্তির নিজের শ্রম কিংবা উৎপাদন কজে নিয়োজিত উপাদান সমুহের পারিশ্রমিককেই আয় বলে। আমার মতে আয় হচ্ছে দিনে তিন বেলা পেট পুরে খাওয়ার জন্য যে টাকা বা অর্থ প্রয়োজন হয় সেই টাকা কোন বৈধ কাজ করে যে টাকা উপার্জিত হয় তাকেই আয় বলে।

ঘরে বসে আয় কি ? এবং আপনি কিভাবে ঘরে বসে আয় করবেন।

ঘরে বসে আয় হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি আপনার অর্পিত দায়িত্ব ঘরে বসে পালন করবেন। সেই দায়িত্ব পালনের কারণে আপানি ঘরে বসেই টাকা বা অর্থ উপার্জন করবেন। ঘরে বসে আয় করা এখন আর অবাস্তব কল্পনা অবান্তর নয়। ঘরে বসে আয় করার বিষয়টি এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। বর্তমান  ইন্টারনেটের এই যোগে আপনার কাজের বেশির ভাগই আপনি ঘরে বসে করে নিতে পারবেন। তবে একথাও সত্য যে যত দিন যাচ্ছে ঘরবসে আয় একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সবাই যদি ঘরে বসে কাজ করে তাহলে বাহিরের কাজ কে করবে? 

ঘরে বসে আয় করার আগে কিংবা অনলাইন থেকে আয় করার আগে আপনাকে বুঝতে হবে মানুষ জন কেন ঘরে বসে আয় করতে পারে কিংবা কি কারণে মানুষজন আয় করে অথবা কি কাজ করে মানুষ টাকা আয় করে। আয় করার জন্য আপনাকে এমন একটি কাজ করতে হবে যে কাজটি পৃথিবীর অন্য কোন মানুষের বা প্রাণী কাজে লাগতে পারে বা লাগবে। বর্তমান সময়ে মানুষজন ঘরে বসে আয় করার বা অনলাইন থেকে আয় করার যে পদ্ধতি গুলো বেঁছে নিচ্ছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সি, তারপর ইউটিউব থেকে আয়, ওয়েবসাইট থেকে আয়, ব্লগিং করে আয়, এফিলিয়েটিং করেও আয় করে থাকে। আয় করার এই প্রতিটি পদ্ধতিই কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া। আপনি যদি মনে করেন আজকে অনলাইনে কাজ শুরু করবেন আর কাল থেকে আয় হওয়া শুরু হবে তাহলে ভুল করবেন। যাই হোক এতটুকু পড়ার পর যদি মনে হয় আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে বাকি আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ রইল।


ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়

অনলাইনে আয় করার জন্য এমন সব ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণে কাজ আছে সেই কাজ ‍গুলোর মধ্যে চাহিদা আছে এমন এক বা একাধিক কাজ বেঁছে নিয়ে আপনি আপনার অনলাইনে আয়ের বা ঘরে বসে আয় করার যাত্রা শুরু করে দিতে পারেন। অনলাইনে আয় করার মাপকাঠি হচ্ছে আপনার যোগ্যতা থাকতে হবে। যেই কাজটি করতে যাচ্ছেন সেই কাজে যদি আপনার যথেষ্ট যোগ্যতা না থাকে তাহলে অনলাইন থেকে আয় করাটা আপনার পক্ষে একটু জটিল বা কঠিন হবে। তাহলে চলুন দেখা যাক অনলাইন থেকে বা ঘরে বসে আপনি কোন কোন উপায়ে আয় করতে পারেন।  


 

মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ঘরে বসে আয় করা প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়। আপনি যদি ঘরে বসে আয় বা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে কোন ধরণে সার্ভিস ঘরে বসে প্রদান করা যায়। ঘরে বসে আয় করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরণে মার্কেট প্লেস রয়েছে। বর্তমানে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কাজ করে মানুষ জন আয় করে থাকে। আপনি চাইলে সেই সব ওয়েব সাইটে একাউন্ট ক্রিয়েট করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তবে এই সব ওয়েব সাইটে কাজ করার আগে আপনাকে অবশ্যই কাজ শিখতে হবে। 

মার্কে প্লেসে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ থাকে আপনাকে অবশ্যই যে কোন একটি বা সেটির সাথে সর্ম্পকৃত আরো কিছু কাজ দিয়ে আপনা কাজ শরু করু করতে পারেন। কাজের ক্যাটাগরি হিসাবে, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভলাপম্যান্ট, আর্টিকেল রাইটিং সহ বিভিন্ন ধরণে কাজ পাওয়া যায়। নিচে ছবিতে কাজের একটা লিস্ট প্রদান করা হলো। 

ঘরে বসে আয় করার সুযোগ
মার্কেপ্লেসে কাজের তালিকা

এইসব মার্কেট প্লেসে আপনি ঘণ্টা হিসেবে অথবা গিগ সাার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আপনার কাজের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। যে কোন প্রজেক্ট অথবা গিগ এ বর্ণিত সার্ভিস প্রদানের পর বায়ার যদি কাজের অনুমোদন দেয় তবেই আপনি আয় নিশ্চিত করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর পুরো সার্ভিস আপনি ঘরে বসে দিতে পারবেন। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট ও ব্যাংক এর মাধ্যমে আপনার আয় আনতে পারবেন।

 

ব্লগিং করে ঘরে বসে আয় করুন

ঘরে বসে আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো  ব্লগিং। আপনি যেই হন না কেন আপনি চাইলে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য প্রথম যেই বিষয়টি আপনার প্রয়োজন হবে তা হলো প্রচুর র্ধয্য থাকতে হবে। তা না হলে আপনার পক্ষে ব্লূগিং করে আয় করা সম্ভব হবে ন। 

ব্লগিং করার জন্য আপনার প্রাথমিক ভাবে প্রয়োজন হবে একটা ওয়েব সাইট বা ব্লগ সাইট। তার পর আপনি ঘরে বসেই আপনি আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে কিংবা ডেক্সটপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই শুরু করে দিতে পারেন আপনার ব্লগিং। ব্লগিং শুরু করার পরই কি আপনার ঘরে বসে আয় করা শুরু হয়ে যাবে? না আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু সময়। আপনার ব্লগে লিখতে হবে মাজার মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ সব আর্টিকেল। 

আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে আর্টিকেল লিখতে হবে। পরবর্তীতে যখন অধিক সংখ্যক লোক আপনার ব্লগসাইট ভিজিট করবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। তখন গুগল এর দেয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন। আর এটা ঘরে বসেই করা যায়।

ঘরে বসে আয় করার জন্য ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসা পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। ভিজিটরই আপনার আয়ের অন্যতম উৎস। তবে একটা কথা বলে রাখি ব্লগিংকে আপনার জীবিকা র্নিবাহের ঐছিক বিষয় হিসাবে রাখতে হবে। তবেই আপনি ব্লগিং জগৎ থেকে ঘরে বসে আয় করতে কিংবা ব্লগিং জগতে সফল হতে পারবেন। 

 

ঘরে বসে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়

ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করার আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়। গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে আপনি অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করেত পারেন।

ঘরে বসে আয় করার জন্য আপনাকে জানতে হবে গুগল  অ্যাডসেন্স কি? সংক্ষেপে যদি বলি গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগলেরই একটি প্রতিষ্টান যেটা অনইনে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শ করে। এবং যেই ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন প্রর্দশন করে সেই ওয়েব সাইটের মালিকে গুগল অ্যাডসেন্স টাকা প্রদান করে। 

আপনিও যদি ঘরে বসে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে এমন একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট তৈরি করতে হবে যেখানে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ঘরে বসেয় আয় করতে পারবেন। ঘরে বসে আয় করা জন্য অনেক ক্ষেত্রে আমার আলাদা করে ওয়েব সাইট তৈরি না করেও বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ঘরে বসে আয় করে নিতে পারেন। তার মধ্যে ইউটিউব অন্যতম যেখানে আপনি গুগল থেকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারেন। 

ঘরে বসে আয় করার জন্য গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ এ নির্ধারিত স্থানে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনি গুগল থেকে টাকা পাবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আয়ের সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ হলো গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয়। আপনি পৃথিবীর যে কোন স্থানে থাকেন না কেন নিয়মিত আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন।

 

ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্যও আপনার একটা ওয়েব সাইট অথবা একটি ব্লগ লাগবে। তাছাড়া আপনি আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকে ব্যবহার করেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ঘরে বসে আয় করতে পারবে। 

ঘরে বসে আয় করার জন্য আপনাকে বুঝতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একধনের কমিশনে পন্য বিক্রয়। যদি আপনি পণ্য বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আপনি আয় করতে পারবেন। যদি সেই পণ্য বিক্রি না হয় তাহলে আপনি আয় করতে পারবেন না। ঘরে বসে আয় করার জন্য আপনি বিভিন্ন কোম্পানীর অ্যাফিলিয়েট হতে পারেন এবং তাদের পণ্য বিক্রি করে আপনি   ঘরে বসেই আয় করতে পারে। শর্ত কিন্তু একটাই বিক্রি না হলে পয়সা পাবেন না। 

ঘরে বসে আয় করার জন্য পণ্য বিক্রির এই কাজটা আপনাকে অবশ্য অনলাইনে করতে হবে তবেই আপনি  একজন অ্যাফিলিয়েটর হবেন। এক্ষেত্রে আপনার একটা ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকা লাগবে। আমাদের আশে পাশে অনেক কোম্পানী  তাদের পণ্য অ্যাফিলিয়েট প্রসেসের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে থাকে। আমি নিজেও টেন মিনিট স্কুলের একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসাবে কাজ করি। আপনি নিজেও চাইলে এরকম যে কোন কোম্পানীর এফিলিয়েটর হিসাবে যুক্ত হয় ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অ্যামাজন।

আপনি যত বেশি বিক্রির পরিমান বাড়বেন আপনার ঘরে বসে আয় করার পরিমানটাও আরে বেশি বৃদ্ধি পাবে। যদি আপনি একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসাবে কাজ শুরু করতে চান  তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়ে মনযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ভিজিটর অথবা ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়াতে হবে।  

 

ঘরে বসে আয় করুন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে

বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর চাকরি খুবই লোভনীয়। আপনি ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কোন কোম্পানির ভার্চুয়াল আ্যাসিস্টেন্ট হতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনাকে দেয়া কাজ সমূহ ঘরে বসেই সম্পাদন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল আসিস্টেন্ট এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আর দক্ষতা অনুযায়ী আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। যা শুধুমাত্র ঘরে বসে করলেই হয়।


 

ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়

ঘরে বসে আয় করার জন্য আপনি ইউটিউবিং করতে পারেন। আপনি নিশ্চিই জানে থাকবেন যে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেও আয় করা যায় । আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাহালে আপনি সেই জ্ঞানের আলোকে কিংবা আপনার পছন্দের কিন্তু চাহিদা আছে এরকম যে কোন একটা টপিকের উপর নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার ও ওয়াচ টাইম নিয়ে আসেন তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন। ‍

ঘরে বসে আয় করার জন্য অনেকই ইউটিউভকে বেচে নিয়েছে কারণ এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েটিং করা যায়। আপার  ইউটিউব চ্যানেলে যখন প্রচুর সাবস্ক্রাইবার থাকবে এবং নিয়মিত ভিউস আসবে তখন আপনি বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েটর হিসাবে কাজ করেও অনলাইন  জগৎ থেকে আয় করতে পারবেন । 

তাছাড়া আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ব্যাবহার করেও আপনার নিজের ব্যবসার পণ্যও বিক্রি করতে পারে। এতে আপনার ব্যবসা আরো বড় হবে। যখন আপনার ব্যবসা দাড়িয়ে যাবে তখন আপনি  আরো বিভিন্ন ধরণে আয়ের উৎস খুজে পাবেন। 

ঘরে বসে আয় করার জন্য একটি ভালো ইউটিব চ্যানেল তৈরি করতে পারলে আপনার আয় নিশ্চিত হবে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ধর্য্য ধারণ করতে হবে। আমি এমন অনেক ইউটিউবারকে দেখেছি যারা খুব অল্প দিনে সফল হয়ে গেছে। কারণ তাদের মধ্যে একচুয়াল মেধা ছিল এবং তাড়া খুব মনযোগ সহকারে কাজ করছিল তাই তারা খুব তাড়া তাড়ি সফল হতে পেরেছে। 

ঘরে বসেই অনলাইন থেকে আয় করুন

ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয়

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ের নানা উপায় রয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে আয় করা যাচ্ছে। আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কের্টিং এর কাজ ঘরে বসে করা যায়। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নানাভাবে মার্কেটিং করা যায়। আপনার পেজ এর যদি ফলোয়ার বেশি হয় যে কোন কোম্পানির পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার পেজ বিক্রির মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারে। ঘরে বসেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাধ্যমে আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবচেয়ে অন্যতম মাধ্যম হল ফেসবুক। আপনি যদি চান শুধু মাত্র  ফেসবুক মার্কেটিং শিখেই ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।

 

কন্টেন্ট রাইটার/ আর্টিকেল লিখে আয় করুন

বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টরে প্রচুর কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা রয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে যারা আয় করতে আগ্রহী তারা ওয়েবসাইট অথবা পণ্য সম্পর্কে নানা কন্টেন্ট বানিয়ে থাকে। তাই ঘরে বসে আপনি কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনার লেখার মান অনুযায়ী আপনি কন্টেন্ট এর দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। তাই অল্প সময়ে অধিক আয় করার সুযোগ রয়েছে শুধুমাত্র কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে। পাশাপাশি আপনি যদি কোন সাইট বানিয়ে আয় করতে চান তখন আপনাকে আর টাকা দিয়ে কন্টেন্ট রাইটার নিয়োগ দিতে হবে না। বরং আপনি নিজেই নিজের সাইটের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

 

ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় করুন ঘরে বসে

আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েব সাইটকে সঠিক ভাবে পরিচানা করতে পারেন তাহলে সেই ওয়েব সাইটকেও মনিটাইজ করে অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে পরবেন।

 

গ্রাফিকস ডিজাইন করে অনলাইনে আয়

ঘরে বসে আয় করার আরেকটি উপায় হলো গ্রাফিকস ডিজাইন গ্রাফিকস ডিজাইন শিখে আপনিও  মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন। গ্রাফিকস ডিজাইনের মাধ্যমে আয় করার জন্য এ কাজে দক্ষ হতে হবে। তারপর মার্কেটপ্লেস এ আপনার ডিজাইন দিয়ে গিগ সাজাতে পারেন। অতপর আপনার ডিজাইন বিক্রির মাধ্যমে ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে গ্রাফিকস ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু দক্ষতা বৃদ্ধি ও কাজের সঠিক উপস্থাপন।

 

উপসংহার

এছাড়া পিটিসি, ডেটা এন্ট্রি, অনলাইন টিউটর, অনুবাদ ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। সকল মার্কেটপ্লেসে এইসব কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যা আপনি ঘরে বসেই প্রদান করতে পারেন।

ঘরে বসে আয় এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। দরকার শুধু দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সঠিক পথ বেচে নেয়া। তাই আর দেরি না করে আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করে দেন এখনই। আর ঘরে বসে আয় করুন।

Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement